দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি এবং চলমান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় চারটি গ্রুপে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বেবি কেয়ার প্রোডাক্ট কোম্পানি ‘কদোমো’।
ডিএসইসির সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক তৌফিক অপুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মোমেন মিল্টন ও প্যান্টাগন ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অন্তু করিম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, কোষাধ্যক্ষ দ্বীপ আজাদ, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি কায়কোবাদ মিলন, মোহাম্মদ আল মামুন ও নাসিমা আক্তার সোমা। এ সময় ডিএসইসির নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অতিথিরা চিত্রাঙ্কনে বিজয়ী শিশুদের হাতে ক্রেস্ট ও বই তুলে দেন। এর আগে নৌ প্রতিমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন দেখেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশ যখন পদ্মা-সেতু করছে তখন অনেকেই মানতে পারছে না; পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, সমুদ্র জয় করছে, গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, যখন মহাসড়ক হচ্ছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে, করোনার মধ্যে যখন আমাদের ৪৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ, তখন অনেকে সেটা মেনে নিতে পারছে না। তাই এগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী; যে সেনাবাহিনী সারা পৃথিবীতে শান্তি রক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অর্থ হচ্ছে আমাদের সার্বভৌমত্বকে নষ্ট করা; কারণ সেনাবাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক একটি আন্দোলনকে ৭-ই মার্চের ভাষণের পর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পরিণত করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। কাজেই বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা এক এবং অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকবান্ধব ছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তীতে সাংবাদিকতাকে দুর্বল করা হয়েছে। সাংবাদিকতার এ জায়গাটাকে কলুষিত করা হয়েছে।
সাব এডিটররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিডিয়ায় কোন প্রতিবেদনটি গুরুত্ব পাবে, কোনটি পাবে না সেটি নির্ধারণ করেন সাব-এডিটররাই। তারাই মিডিয়ার ম্যারাডোনা, মেসি, রোনালদো। একটি দেশকে এগিয়ে দিতে মিডিয়ায় সাব-এডিটররাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। শিশুদের নিয়ে আপনাদের আজকের এই তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজনকে আমি স্বাগত জানাই।
সূত্র: সময় নিউজ