আয়ারল্যান্ডে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন সেইন্ট প্যাট্রিক্স। ৪৬১ সালের ১৭ মার্চ তার মৃত্যুর পর থেকে এ দিনে তাকে স্মরণে থাকে নানা আয়োজন। বিশেষ করে সেইন্ট প্যাট্রিক্স প্যারেডের মাঝে অন্যতম। তবে এ বছর করোনার বিধিনিষেধ থাকায় অনুষ্ঠান না হওয়ায় হতাশা জনমনে।
আয়ারল্যান্ডে যত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় তার মাঝে ‘সেইন্ট পেট্রিক্স ডে’ অন্যতম। এক হাজার বছরেরও বেশি সময় থেকে ১৭ মার্চ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ছুটি হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে এ দিনটি। এই একটি অনুষ্ঠান যেখানে লাখো মানুষের জমায়েত হয়। সবুজ পোশাক ও নানা রঙে সজ্জিত হয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয় পুরো দেশ। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য হয় সেইন্ট প্যাট্রিক্স প্যারেড। এ বছর লকডাউনের কারণে প্যারেড না হওয়ায় আইরিশদের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের কণ্ঠেও আক্ষেপের সুর।
এক আইরিশ নারী জানান, সত্যি আমরা খুবই অদ্ভুত সময়ে পার করছি। এ সময়ে প্রত্যেককে আশাবাদী হতে হবে এবং সাহসী থাকা উচিত।
তবে, প্যারেড না হলেও বেশ কয়েকটি স্থানে প্ল্যাকার্ড নিয়ে করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেন খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা।
ঢোল, তবলা, বাঁশি, আর নানা রঙের ফেস্টুনের মাঝে সবুজ পোশাকের লাখো মানুষের ঢল হারিয়ে গেল করোনার স্রোতে, আগামী বছর এই মহামারি শেষে সেন্ট প্যাট্রিক্স ডেতে আবারো ফিরবে প্রাণ, আবারো গাইবে” আমরা চির সবুজের”গান, এমনটাই হোক আগামী উৎসব।
সূত্রঃ সময় নিউজ