মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার আহম্মেদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বনিকপাড়া মৌচাক টাওয়ারের সামনে থেকে স্কুলছাত্রী অঙ্কিতা (৬) নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ছয়দিন পর ২৮ জানুয়ারি বাড়ি থেকে কয়েকশ গজ দূরে বীণাপানি চারতলা ভবনের নিচতলার বাথরুম থেকে পুলিশ বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ এরই মধ্যে পাবলা বনিকপাড়ার যে বাড়ি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার হয়েছে সেই বীণাপানি ভবনের মালিকের ছেলে, ভাড়াটিয়াসহ ছয়জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ওই দিন সন্ধ্যায় বীণাপানি ভবনের ছাদে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে জুতার ফিতা, নাইলন ও জালের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশুটিকে। হত্যার পর মরদেহ একটি প্লাস্টিকের বস্তাতে ভরে লুকিয়ে রাখা হয় সিঁড়ি ঘরে জবানবন্দিতে এসবও স্বীকার করে আসামি।
এদিকে, সিঁড়ি ঘরের ওই স্থান ও ছাদের একাধিক স্থানে রক্তের দাগ, ভেজা কাপড় ও বেশ কিছু আলামত দেখে ঘটনা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, স্কুলছাত্রী অঙ্কিতাকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে গুম করার কথা আদালতে স্বীকার করেছে আসামি প্রিতম রুদ্র। তাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।