মোঃ শাকিল হোসেনঃ
উত্তরা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অবৈধ পানির ব্যবসা । সাংবাদিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য হাতিরঝিল থানা আওতা অধীনে বাড়ী নং ৩৫৭/১২এ/বি নয়াটোলা ,মধুবাগ ,মগবাজার ,ঢাকা ১২১৭। এই দোতলা বাড়িটি তাসনিম ড্রিংকিং ওয়াটার । দূষিত পানি সাপ্লাই দেওয়া হয় এই পানি অত্র এলাকার সব মানুষ পান করছে যাতে ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ। বাংলাদেশের এই মহামারী করুণা কালীন সময় কি করে এদের সাহস হয় দূষিত পানি বিক্রি করার এই পানির বিক্রির বিরুদ্ধে ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল এলাকাবাসী । আমরা সরজমিনে গিয়ে দেখতে পেলাম লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং বি এস টি অনুমোদিত কাগজ মোঃ তরিকুল ইসলাম দেখাতে পারেনি ।কোম্পানির পার্টনার মোঃ দুলাল হোসেন কে ফোনে ধরিয়ে দেন তাকে লাইসেন্সের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বিএসটিআই অনুমোদিত লাইসেন্সের কাগজটা একমাস পরে দেখাবে । তাতে পরিষ্কার বোঝা যায় তাদের বিএসটি অনুমোদিত কোন কাগজ নেই। কোম্পানির ভিতরে পরিবেশ নোংরা এবং দোতালায় একটি কক্ষে তিনটি গাজী ট্যাংক বসানো আছে । যা পরিষ্কার করা হয় না ছয় মাসেও ট্যাংকের ভিতরে খুবই নোংরা এমনকি মোটরের সাহায্যে যে টাংকির ভিতর পানি তোলা হয় সে পানির উপরে শেওলা ধরেছে ।এটি সরাসরি মোটরের সাহায্যে পানির টাংকিতে জমা হয় টাংকি থেকে তারা এইপানি বাজারজাতকরণ করে থাকে । মোঃ তরিকুল ইসলাম ও দুলাল হোসেন ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে তাসনিম ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানি নাম দিয়ে বাজারজাতকরণ করছে দূষিত পানি । যা খেলে রোগ জীবানু ছড়ায় ।কোম্পানির মালিক মোঃ তরিকুল ইসলাম এবং মোঃ দুলাল হোসেন । গোপন সূত্রে জানতে পারি মোঃ দুলাল হোসেন ৮থেকে ১০বছর আগে তিনি ৫-৬টি দুই চাকার সাইকেল ভাড়া দিতেন মধুবাগ মাঠের এক কোনে সে আজ হয়েছে হাতিরঝিল থানার আওতায় ৫ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ির মালিক এবং গাজীপুরে রয়েছে অনেক জমি ।এই জায়গা জমি টাকাপয়সা উৎস কোথায় । প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই অবৈধ পানির ব্যবসায়ী মোঃ তরিকুল ইসলাম ও মোঃ দুলাল হোসেনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক । এদের শাস্তি দেখে ভবিষ্যতে কেহ দূষিত পানি বাজারজাতকরণ করার সাহস না পায় ।