অনলাইন জুয়া ‘তীরশিলং’। সিলেট, নেত্রকোণা হয়ে এবার রাজধানী ঢাকায়। ভারতের শিলংয়ে চালু হওয়া ইন্টারনেট জুয়া ‘তীরশিলং’ এ জড়িয়ে পড়ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এক টাকায় লাভ ৮০ টাকা। পুঁজি কম- তাই এ ফাঁদের মূল টার্গেট অল্প আয়ের মানুষ। যা দিয়ে এজেন্টরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
উৎপত্তি ভারতের শিলং এ। খেলার সরঞ্জাম তীর। তাই নাম তীরশিলং। খেলা হয় অনলাইনে। ওয়েবসাইট তীরটুডে ডটকম। ১৯৯০ সালে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা শিলং ও গৌহাটিতে চালু হয় এ খেলাটি।
তারপর সীমানা পেরিয়ে সিলেটের কিছু এলাকাতেও শুরু হয় এই খেলা। ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রান্তে। সেখান থেকে পাশের নেত্রকোণা জেলায়। এখন রাজধানীতেও।
খেলায় প্রথমে ১ থেকে ৯৯ পর্যন্ত যে কোনো নম্বর কিনতে হয় বিভিন্ন দামে। আর লটারিতে ওই নম্বর ওঠলে পাওয়া যায় আশিগুণ টাকা। দিনে দুইবার ড্র হয়। বিকেল ৪ টায়। আর রাত ১০টায়। এই নম্বরগুলোকে কেন্দ্র করেই সারাদিন ছুটে বেড়ান তীরশিলং খেলতে আগ্রহীরা।
ডিবির সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ রাজধানীতে এই অনলাইন জুয়া পরিচালনায় জড়িত চারজনকে আটক করার পর বেরিয়ে এসেছে অনেক তথ্য।
নম্বর বিক্রি করা সেলসম্যানরা কমিশনের অংশ রেখে টাকা পাঠিয়ে দেয় ঢাকার এজেন্টদের কাছে। এজেন্টরা তাদের কমিশন রেখে টাকা পাঠায় নেত্রকোণার এজেন্টদের কাছে। সেখান থেকে মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে টাকা চলে যায় সিলেটের জাফলংয়ে।
আটক এজেন্টদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া রেজিস্টার খাতার তথ্য অনুয়ায়ী প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম উপ-পুলিশ কমিশনার মীর মোদদাছছের হোসেন বলেন, দুইটা শিফটে প্রায় দেড় লাখ টাকার মত লেনদেন হয়। প্রতি মাসে তারা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা আয় করে এই জুয়ার মাধ্যমে। এই টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে কি না সেটা বের করার চেষ্টা করছি।
পুলিশ বলছে, সিলেট থেকে হুণ্ডির মাধ্যমে টাকা ভারতে যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রঃ ভোরের ডাক